মহানগরীসমূহে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দান, হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ- Professor Mujibur Rahman
মহানগরীসমূহে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দান, হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ- Professor Mujibur Rahman
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত মহানগরীসমূহে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে বাধা দান, হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করায় দেশবাসী ও মহানগরী জামায়াতের নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৬ আগস্ট নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৬ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত মহানগরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে বাধা প্রদান ও মিছিলে হামলা করা হয়েছে। কুমিল্লা মহানগরী শাখার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে লাঠিচার্জ করে ৭ জনকে এবং আগের রাতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহর শাখার সেক্রেটারি খোরশেদ আলমকে, ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে ৯ জন এবং রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, হামলা-মামলা এবং গণগ্রেফতারের ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে মহানগরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল হওয়ায় আমি দেশবাসী ও মহানগরসমূহের সকল নেতাকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
গত ৪ আগস্ট তিন দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের পক্ষ থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সহযোগিতা চেয়ে পুলিশের নিকট আবেদন করা হয়েছিল। প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ার প্রতিবাদে আজ ৬ আগস্ট দেশের মহানগরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যে কোনো রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। এ অধিকারে হস্তক্ষেপ করার কারো কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু দেশবাসী অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছে যে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বারবার প্রশাসনের নিকট সমাবেশ করার জন্য সহযোগিতার আবেদন করা হলেও সে আবেদনে সাড়া দেয়া হচ্ছে না। সহযোগিতার পরিবর্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও হয়রানি করে জনগণের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।
অবিলম্বে গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই